নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ‘এম এল আফসার উদ্দিন’ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ১৫-১৭ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং ১৫ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২০ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া হোসেন্দী সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে জাহাজটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গজারিয়া কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান। এর আগে একই দিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে এম এল আফসার উদ্দিন নামক লঞ্চটি ডুবে যায়। তবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বিআইডিব্লিউটিএ, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করছে। লঞ্চের অবস্থান জানা গেলেও স্রোতে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে লঞ্চটি। কয়লারঘাট এলাকায় লঞ্চটিকে পেছন থেকে কয়েকটি ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী একটি জাহাজ।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো জাহাজ একে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। এর আগেও শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবে প্রাণহানি হয়েছে। নৌ-পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা ঠিকমতো তদারকি না করায় শীতলক্ষ্যা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় জরুরি যোগাযোগ রক্ষার্থে বিআইডব্লিউটিএ প্রধান কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে হটলাইন নং -১৬১১৩, টেলিফোন +৮৮২২২৩৩৫২৩০৬ ও মোবাইল নং +৮৮০১৯৫৮৬৫৮২১৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।




















