নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অটোরিকশা চালক বলরাম মজুমদারকে (১৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ভাড়ার ১০ টাকা নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে হাত-পা বেঁধে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। একই সঙ্গে চোরাইকৃত অটোরিকশার অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার শ্যামল চন্দ্র দাস (৩২) পার্শ্ববর্তী সেনবাগ উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের নারায়ণ চন্দ্র দাসের ছেলে ও আবদুল খালেক ওরফে তোতা মিয়া (৫২) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মাহবুবুল হক মুন্সি বাড়ির মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। এর আগে বুধবার কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
এসপি বলেন, আসামিরা চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি রিকশাচালক বলরাম মজুমদারকে (১৫) বসুরহাট কলেজ রোড থেকে যাত্রী হিসেবে তার অটোরিকশায় উঠে উপজেলার ৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মহিষের ডগি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছে ইউনুছ চৌকিদারের বাড়ির পূর্ব পাশে কৃষি জমিতে নিয়ে বলরামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা।
নিহত বলরাম (১৫) উপজেলার চর হাজারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সনাতন মহাজন বাড়ির ননি গোপালের ছেলে। সে পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি দুপুর পৌনে ২ টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ি সংলগ্ন মহিষের ডগি থেকে রিকশা চালক বলরামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এসপি আরও জানায়, আসামি শ্যামল চন্দ্র দাসকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- বলরাম মজুমদারের সঙ্গে ঘটনার ৪-৫ দিন আগে অটোরিকশার ১০ টাকা ভাড়া নিয়ে পলাতক ২ জন আসামির ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে আসামি আব্দুল খালেক ওরফে তোতা মিয়ার কাছে ২৭ হাজার-টাকায় অটোরিকশা বিক্রয় করা হয়। রিকশা বিক্রয়ের ৫ হাজার টাকা অপর আসামি শ্যামল চন্দ্র দাসকে ভাগ দেওয়া হয়।
নোয়াখালী ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, এ দুই আসামিকে বৃহস্পতিবার বার নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আসামি শ্যামল চন্দ্র দাস সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র হাকিম মো. এমদাদের নিকট দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
