ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় তীব্র দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে আমন ধান রোপণ কার্যক্রম। কিছু কিছু এলাকায় রোপণকাজ সম্পন্ন হলেও ফেটে যাচ্ছে ফসলের মাঠ।
প্রখর রোদে ফেটে চৌচির হয় কৃষকের স্বপ্ন। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। ধোবাউড়া উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ফসলের মাঠের পরিস্থিতি দেখে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন সাধারণ কৃষক।
আমন ধান রোপণ কার্যক্রম সাধারণত বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ধোবাউড়ায় বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র দাবদাহে আমন রোপণের জন্য প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও রোপণ করা গেলেও ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে সাধারণত হরহামেশাই বৃষ্টির দেখা মিলে কিন্তু চলতি বছর সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রচণ্ড দাবদাহ ও খরা বিরাজমান। ফলে চলতি আমন মৌসুমে ধান চাষ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে প্রচণ্ড দাবদাহ ও খরা অব্যাহত থাকায় উপজেলার উঁচু জমিসহ নিচু জমিগুলোর পানি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। এতে আমন ধান রোপণ করতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এক মাস আগে যেসব জমিতে পানি ছিল, সেসব জমিতেও এখন পানির অভাবে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রথম দিকে বৃষ্টিময় আবহাওয়া দেখে বিভিন্ন এলাকায় ধান রোপণ করলেও টানা কয়েক দিনের প্রখর রোদে মাটি শুকিয়ে ফেটে গেছে। রোপণকৃত ধানের গাছগুলোও পানির অভাবে বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে। এমন খরার কারণে সেচ পাম্পের ওপর নির্ভর করতে হবে কৃষকদের। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়বে ধানের উৎপাদন ব্যয়।
সিঙ্গুরা গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, বৃষ্টির অভাবে আমার পাঁচ একর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।
বতিহালা গ্রামের কৃষক আ. হাই বলেন, জমি চাষ করে রেখেছি। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে রোপণ করা যাচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ধোবাউড়ায় আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার হেক্টর। বৃষ্টি না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে রোপণ কার্যক্রম, তবে প্রায় ৬০ শতাংশ রোপণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার তুষার বলেন, বৃষ্টি না হলে রোপণকৃত আমন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া এখনো রোপণের বাকি রয়েছে, আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, বৃষ্টি হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।