ফরিদপুর শহরে সাজেদা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে শহরের পশ্চিম আলীপুর মহল্লার অম্বিকাপুর খাদ্যগুদাম এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সাজেদার স্বামী লালন মোল্লাকে (৪৮) আটক করেছে পুলিশ। নিহত সাজেদার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জগন্নাথ বলেন, আটক লালন নিজেই প্রতিবেশীকে খবর দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান। এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে দুপুর ১২টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ লাশ দেখতে পায়। এ সময় নিহতের লাশের পাশে তাঁর স্বামী বসে ছিলেন।
এসআই জগন্নাথ বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত সাজেদার স্বামী লালনকে আটক করার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি ও লোহার ছেনি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসআই জগন্নাথ আরও বলেন, ভোর পাঁচটার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী লালন তাঁর স্ত্রীর মাথার বাঁ পাশে হাতুড়ি দিয়ে ছেনি ঢুকিয়ে দেন। বেলা ১১টার দিকে এলাকাবাসী হত্যার ঘটনাটি জানতে পারেন। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ এসে তাঁর লাশ উদ্ধার ও হত্যাকারী লালনকে আটক করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লালন মোল্লার বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী গ্রামে। আর সাজেদার বাড়ি সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ভারদি এলাকায়। প্রায় ২০ বছরের সংসারে তাঁরা নিঃসন্তান ছিলেন। শহরের আলীপুর মহল্লার অম্বিকাপুর খাদ্যগুদাম–সংলগ্ন একটি বাড়িতে প্রায় এক যুগ ধরে বসবাস করতেন তাঁরা। লালন পেশায় অটোরিকশাচালক। মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়া হতো বলে এলাকাবাসী জানান।
