বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবামেক) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযান এবং অধ্যক্ষের সঙ্গে অসদাচরণের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক এবং মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া এ ঘটনায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি দিয়েছেন চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বিএমএর জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেডিকেল কলেজে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত বরিশাল জেলা কার্যালয়ের একটি টিম। অভিযানকালে কলেজ অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান শাহীনসহ অন্যান্য চিকিৎসক এবং কর্মচারীদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত পান তারা। খবর পেয়ে অধ্যক্ষ তার কার্যালয়ে ছুটে আসেন। এ সময় দুদকের টিম গত সাত দিনের বায়োমেট্রিক হাজিরা চাইলেও তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন কলেজ অধ্যক্ষ। এ নিয়ে দুদক টিমের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান অধ্যক্ষ।
এদিকে দুদকের আভিযানিক টিম মেডিকেল কলেজ ত্যাগ করলে সেখানে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসক এবং মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা। পরে এ নিয়ে মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের সম্মেলন কক্ষে বিষয়টি নিয়ে জরুরি সভা করা হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বরিশাল জেলার সভাপতি ডা. ইসতিয়াক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ এবং বিএমএর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীনসহ অন্যান্য চিকিৎসক-শিক্ষকমণ্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আকস্মিকভাবে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে অসদাচরণের প্রতিবাদ জানান বিএমএ নেতারা। পাশাপাশি এই ঘটনায় দুদক টিমের বিচার দাবি জানিয়ে বুধবার বেলা ১১টায় বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন। বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ও শেবামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জরুরি সভার পর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে চিকিৎসক-শিক্ষক এবং মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে দুদক টিমের বিরুদ্ধে।
