কক্সবাজার জেলার উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও মানহানির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানাতে সড়কে নেমেছেন গ্রামের মানুষ।
সোমবার উখিয়ার কুতুপালং জেনারেল হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা। এ সময় মুসলিমদের পাশাপাশি কয়েকশ বৌদ্ধধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ অংশ নেন।
এলাকাবাসীর দাবি, জেলফেরত ইয়াবা মামলার আসামি দীপন বড়ুয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যম ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদ জানাতে তারা রাস্তায় নেমেছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন জনপ্রিয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার মোটেও কাম্য নয়। আমরা এ সমাবেশ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি যুবসমাজ নষ্টকারী, প্রতারক ও একজন শান্তিপ্রিয় মেম্বারের মানহানি করায় দীপন বড়ুয়াকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
তবে দীপন বড়ুয়ার দাবি, তাদের পরিবার থেকে জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে দোকানপাট নির্মাণ করে হেলালের বাবা মৃত বখতিয়ার মেম্বার। কিন্তু ২০২০ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর ছেলে হেলাল তাদের ভাড়াও দিচ্ছেন না এবং চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও জমির দখল ছেড়ে দিচ্ছেন না। এ কারণে তিনি জেলা প্রশাসক ও উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। কোনো অপপ্রচার করছেন না তিনি।
এ বিষযে ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, বাবা বেঁচে থাকতে জমির বিষয়ে কখনো আমি খোঁজখবর রাখতাম না। বাবার মৃত্যুর পর দীপন বড়ুয়ার পরিবার ২০১৬ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া একটি স্ট্যাম্প নিয়ে ভাড়া দাবি করতে আসেন। এর পর আমি তহশিল অফিসে তল্লাশি দিয়ে দেখি বাজারস্থ দীপনদের সেই জমি তিনটি দলিলের রেফারেন্সে ২০১৪ সালে আমার বাবা বখতিয়ারের নামে খতিয়ান হয়েছে। কাগজপত্রে আমাদের মালিকানা থাকায় তাকে আর ভাড়া দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এখন দীপন বড়ুয়ারা জমির মালিকানা চাইলে আইনি প্রক্রিয়ায় খতিয়ান সংশোধন করে আসুক। অথবা তারা যদি বিচার বা কাগজপত্র জমি তাদের প্রমাণ করতে পারে আমি ছেড়ে দেব। কিন্তু দীপন সেটি না করে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার করে যাচ্ছে।




















