শেষ ওভারে আবুলের এলোমেলো বোলিংয়ে অসিদের হারানোর সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ

সীমিত ওভারের ম্যাচে আরও একবার অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। 

কিন্তু শেষ ওভারে আবুল হোসেন রাজুর এলোমেলো বোলিংয়ে অসিদের হারানোর সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়।

অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের নিয়ে চলতি রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে রোববার রাতে অস্ট্রেলিয়া লিজেন্ডসদের কোণঠাসা করে ফেলেন বাংলাদেশের লিজেন্ডসরা। 

ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় শেষ ওভার পর্যন্ত। ১৯তম ওভারে অধিনায়ক মোহাম্মদ শরীফ মাত্র ৫ রান দিলে শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন পড়ে ২১ রানের।  উইকেটে ছিলেন সাবেক অসি মারকুটে ব্যাটার ব্র্যাড হ্যাডিন। 

আবুলের সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান বহ্যাডিন। ছক্কা খেয়ে দিশাহারা হয়ে নো বল করেন আবুল। ফ্রি হিট বলে অবশ্য হ্যাডিন কিছু করতে পারেননি। দুই রান আসে। শেষ তিন বলে নিতে হতো ১২ রান। এটিও কম কষ্টসাধ্য নয়। 

কিন্তু আবুলের ভুল জায়গায় ফেলা বল তিনটিকেই বাউন্ডারি হাঁকান হ্যাডিন। অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটের দারুণ এক জয় এনে দেন তিনি।

ইন্দোরের হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ লিজেন্ডস। 

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ইলিয়াস সানি। নাজমুস সাদাত ২০, অলক কাপালি ২০, শরীফ ১৪ ও ডলার মাহমুদ করেন ১৭ রান।  সর্বোচ্চ রান অবশ্য অতিরিক্তের। অসিরা নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংয়ে ৩৯ রান দেন অতিরিক্ত খাতে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে ছিল অস্ট্রেলিয়া। তিন স্পিনার অলক কাপালি, ইলিয়াস সানি ও আব্দুর রাজ্জাক রানের চাকা আটকে রাখেন।

৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দেন কাপালি। আব্দুর রাজ্জাক ২৬ রানে নেন ২ উইকেট।  তবে দুর্দান্ত বল করেন ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান করা ইলিয়াস সানি। ৪ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট নেন তিনি।

কিন্তু দলকে ডোবায় দুই পেসাররা। শরিফ ও আবুলের করা ৭ ওভারে ৯৫ রান তুলে নিয়ে ম্যাচ জিতে নেন অসিরা। ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন হ্যাডিন।

spot_img
পূর্ববর্তী নিবন্ধবোনের মৃত্যু বদলে দিয়েছে পাকিস্তানি ওপেনারের জীবন
পরবর্তী নিবন্ধফিলিস্তিন পাঠ্যক্রমে বিকৃত ইতিহাস,ইসরাইলি প্রচেষ্টার প্রতিবাদে ধর্মঘট 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে