রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে এবার উপ-পরিচালক ও দুই সহকারী পরিচালকসহ তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বদলিকৃতরা হলেন- উপ-পরিচালক আবদুল মোকাদ্দেম, সহকারী পরিচালক মোস্তফা জামান চৌধুরী ও সহকারী পরিচালক আরশাদ হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শরিফুল ইসলাম। রোববার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাকিয়া পারভীন স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের বদলি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে- উপ-পরিচালক আবদুল মোকাদ্দেমকে ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাখালিতে ওএসডি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সহকারী পরিচালক মোস্তফা জামান চৌধুরীকে বগুড়া ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে সিনিয়র লেকচারার এবং সহকারী পরিচালক আরশাদ হোসেনকে নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে সুপারিনটেনডেন্ট পদে বদলি করা হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, আদেশ জারির সাত দিনের মধ্যে তাদের বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। এই আদেশ মানা না হলে তাদের সরাসরি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের একজন ওয়ার্ড মাস্টারসহ ১৬ জন কর্মচারীকে বদলি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ১২ জন অফিস সহায়ক, একজন স্টোনো টাইপিস্ট, একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, একজন নিরাপত্তা প্রহরী এবং একজন ওয়ার্ড মাস্টার রয়েছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিজের মাকে ভর্তি করাতে গিয়ে ‘বকশিশ’ সিন্ডিকেট চক্রের হয়রানির শিকার হন সেখানকার অর্থোসার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট এবিএম রাশেদুল আমীর। পরের দিন ওই চিকিৎসক কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হাসপাতালের পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক দুজন কর্মচারী মাসুদ হোসেন ও ঝর্ণা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে হাসপাতালে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন সমাবেশ করে সম্মিলিত চিকিৎসক সমাজ।
