ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানকে হেসে-খেলে হারানোর পথে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের দেওয়া ১৩১ রানের মামুলি টার্গেট ভেদ করা এখন কিউইদের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
দুই ওপেনার অ্যালেন ফিন ও ডেভন কনওয়ে শুরু থেকে সাবলীল খেলে যাচ্ছিলেন। তাদের জুটি অনেকটাই অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি বোলারদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যালেন ও কনওয়ে।
১৪তম ওভারে শাদাব খান ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন অ্যালেন। তখন নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয়ে গেছে ১১৭ রান। জয় থেকে আর মাত্র ১৪ রান দূরে তারা।
আউট হওয়ার আগে ৪২ বলে ৬২ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস উপহার দিয়ে যান অ্যালেন। শাদাবের বলটি বড় শট খেলে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন অ্যালেন। ব্যাট-বলে হয়নি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন রিজওয়ান।
এর আগে পাকিস্তান ব্যাট করে ১৩০ রানে তুলে ৭ উইকেটে।
ক্রাইস্টচার্চে মঙ্গলবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান ইনিংস বড় করতে পারেননি (১৭ বলে ১৬)। তবে বাবর আর শান মাসুদ জুটি গড়ার পথেই ছিলেন।
অষ্টম ওভারে ১ উইকেটে ৫৪ রান ছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে আর ২৩ রান তুলতে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে বসেন আনপ্রেডিক্টেবলরা। শান মাসুদ (১২ বলে ১৪), শাদাব খান (৭ বলে ৮), বাবর আজম (২৩ বলে ২১), হায়দার আলি (১১ বলে ৮) অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে গেলে চাপে পড়ে পাকিস্তান।
১৩.২ ওভারে ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে এর পর টেনে তোলার দায়িত্ব নেন আসিফ আলি আর ইফতিখার আহমেদ। তাদের জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৫১ রান।
২৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৭ করে আউট হন ইফতিখার। তবে আসিফ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন, ২০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ২৫ রান।
নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, মিচেল স্যান্টনার আর মাইকেল ব্রেসওয়েল নেন দুটি করে উইকেট।




















