ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে ১৫ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে এ যানজটের কবলে পড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে দূরপাল্লার শত শত যানবাহন। পাশাপাশি যানজটে আটকা পড়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় দূর-দূরান্তের হাজারো যাত্রীকে।
সকাল ১০টা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্ব মহাসড়কের ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যাত্রীবাহী গাড়িগুলো তল্লাশি করা হয়। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাজারো মানুষকে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, চেকপোস্টে গাড়ির চেকিং করার সময় কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বিএনপির দাবি, চট্টগ্রামের বিএনপির জনসভায় যাতে নেতাকর্মীরা যেতে না পারে সেজন্য বাধা সৃষ্টি করতেই এই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
হোসনে আরা বেগম নামে ষাটোর্ধ এক নারী বলেন, ১১টা বাজে মাদামবিবির হাট থেকে ৮নং মিনি বাসে উঠে দুপুর সোয়া ২টায় অলংকার মোড়ে পৌঁছায়।
আবু সালেহ নামে এক বাস যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, সবাইতো আর বিএনপির সভায় যাচ্ছে না। গাড়ি তল্লাশির নামে সব যাত্রীবাহী গাড়ি কেন আটক করবে।
ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন, রুটিনওয়ার্ক অনুযায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চলছে। এতে গাড়ির কিছুটা স্লো গতি হলেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের নেতা রবিউল হক অভিযোগ করেন, সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের আসার পথে বাধা দিচ্ছে। ফৌজদারহাটে গাড়ি চেক পোষ্টের নামে নেতাকর্মীদের জনসভা যেতে বাধা সৃষ্টি করছে। এছাড়া সাধারণ জনগণ ও যাত্রীসাধারণ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। সরকার একদিকে জনসভার অনুমতি দিয়েছে অন্যদিকে প্রশাসন ও দলীয় লোক দিয়ে পথে পথে বাঁধা সৃষ্টি করছে।




















