নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদী থেকে ইউসুফ নবী (২৩) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ ফেরিঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ভাসমান ওই লাশের প্রায় ১০ ফুট দূরত্বে মেঘনার পাড় থেকে এক জোড়া জুতা ও বিষের একটি খালি বোতল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গোবিন্দ সরকার।
নিহত ইউসুফ নবী উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের সমীবাদ গ্রামের মো. নুরু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সায়বাদ নৌকাঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে এক যুবকের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে নৌ ও থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া যুবকের পরনে জিন্স প্যান্ট ও কালো রঙের শার্ট এবং দুই হাত মেহেদি রাঙানো ছিল। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি স্মার্ট ফোন ও নগদ টাকা পাওয়া গেছে। তবে সায়দাবাদ মেঘনার পাড়ে উপস্থিত আশপাশের গ্রামের লোকজন কেউ মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। পরে রাতে নিহতের স্বজনরা এসে মরদেহটি ইউসুফের বলে শনাক্ত করে।
পরিবারের লোকজনরা জানায়, গত সোমবার নরসিংদী সদর উপজেলার মুরাদনগর এলাকার বাসিন্দা ললিত উদ্দিনের মেয়েকে বিয়ে করেন ইউসুফ। সন্ধ্যার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ইউসুফ। পরিবারের লোকজনরা তার কোন খোঁজ পাচ্ছিলো না। এর একদিন পরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেঘনা থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পিতা নুরু মিয়া বলেন, আমার ছেলে সাঁতার জানে না। এজন্য সে নদীতেই নামে না। আমার ছেলেকে কেউ হত্যা করে নদীতে ফেলে এভাবে নাটক সাজানোর চেষ্টা করছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ছেলের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খোঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা। আর এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।




















