ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ

কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে আটকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে পরে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। 

অভিযুক্ত যুবক নিশাত মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার আবু শামার ছেলে। 

নিশাতের শাস্তির দাবিতে ভিকটিম গৃহবধূ শুক্রবার সকালে চকরিয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। 

ওই নারী বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২৬ জুলাই কক্সবাজার যাই। ওই সময় ডাক্তারের ভিজিট ও ওষুধের জন্য দুই হাজার টাকা ধার চেয়ে নিশাতকে ফোন করি। পরে তিনি আমাকে কক্সবাজার লালদীঘির রহমানিয়া হোটেলে যেতে বলেন। আমি কোলের শিশুসন্তানকে নিয়ে সেখানে গেলে একটি রুমে বসতে দিয়ে বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর একটি চাকু হাতে রুমে ঢুকে ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের দৃশ্য গোপনে ধারণ করেন নিশাত। এরপর ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় কক্সবাজার নারী শিশু আদালতে মামলা করেছি। 

অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী সর্বনাশের দায়ভার থেকে নিজেকে রক্ষায় ইত্যবসরে বিয়ের জন্য চাপ দেন অভিযুক্ত যুবককে। পরে  কথামতো ওই যুবক  গত ২৬ আগস্ট চকরিয়া পৌরসভার চিংড়িচত্বর এলাকার মালেক টাওয়ারে গৃহবধূর বাসায় এসে বিশ্বাস জন্মানোর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় কাবিননামা ও চারটি খালি পেপারে স্বাক্ষর নিয়ে কাগজগুলো তার কাছে রাখেন। এরপর শারীরিক সম্পর্ক শেষে কাগজগুলো নিয়ে ওই দিন থেকেই  নিরুদ্দেশ হয়ে যান যুবক নিশাত। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জিয়াউল হক মানিক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত বাদীর ফৌজদারি আবেদনটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

spot_img
পূর্ববর্তী নিবন্ধযাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে চাচা-ভাতিজি নিহত,১০ যাত্রী আহত
পরবর্তী নিবন্ধদ্বন্দ্ব নিরসনে সব পক্ষের সদিচ্ছা কামনা করেছে পুতিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে