রুশ বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও বিমান হামলা জোরদার করেছে। জ্বালানি অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্য করে চলছে হামলা। বুধবার খারকিভে বিমান হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। এদিন হাসপাতালের এক প্রসূতি ওয়ার্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এক নবজাতক নিহত হয়েছে। খবর সিএনএন–এর। কিয়েভ শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটচকো বলেন, বুধবার দুপুরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি অবকাঠামো এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিমান হামলা থেকে বাঁচতে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে সতর্ক করেন। ওই অঞ্চলের গভর্নর ওলেস্কি কুলেবা বলেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কাজ করছে। তবে ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এর মধ্যেই দেশটির এক কোটির বেশি মানুষ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিয়েভের মেয়র বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউক্রেনকে সবচেয়ে ভয়াবহ শীতকাল কাটাতে হচ্ছে। ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে জাপোরিঝঝিয়ায় বুধবার হাসপাতালের একটি প্রসূতি ওয়ার্ডে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই দিনের শিশু নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এ ছাড়া ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করেও ব্যাপক হামলা চালানো হচ্ছে। জেলেনস্কি বলেন, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে।ইউক্রেনের মাইকোলাইভ অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ভিটালি কিম বলেন, ‘অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে। দক্ষিণ থেকে পশ্চিমে সব দিকেই তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। তবে আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কাজ করছে।’ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাদের সংঘর্ষ বেড়ে গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, দোনেৎস্কের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছেন রুশ সেনারা। বুধবার একটি প্রতীকী পদক্ষেপে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট রাশিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ইউরোপকে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেবে। আসন্ন শীতের আগে তাই ইউরোপের দেশগুলো জ্বালানি মজুত বাড়াতে ছুটছে।




















