দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের রাতের উৎসব থেমেছে মাত্র। তবে তখনো রেশ কাটেনি। ছবির মতো সুন্দর রিসর্টের একটি সুইট রুমের ব্যালকনিতে অপেক্ষা করছি তাসকিন আহমেদের জন্য। দুর্দান্ত বোলিং করা এই ফাস্ট বোলারের ইন্টারভিউর মূল্য তখন আকাশচুম্বী।
আলো আধারির সেই রাত গভীরে তামিম ইকবালের কথায় চমকে যাই, ‘নিশ্চিত থাকেন, বিশ্বকাপে আমি অধিনায়ক থাকছি না!’
পরিবেশই জানিয়ে দিচ্ছিল এটা কোনো ঠাট্টা নয়। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক যেন যথেষ্টই বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দিচ্ছিলেন, ‘দেখবেন, বিশ্বকাপের আগে আগে এমন কিছু ঘটবে যে আমি অধিনায়ক থাকব না।’
ভুল হলো। ওটা প্রথমবার নয়।
অধিনায়ক পাওয়ার পর থেকেই তামিম ইকবালের মনের ভেতর এই ধারণার জন্ম। কারণ তাঁর অধিনায়কত্ব পাওয়া ঘটনাচক্রে। সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। তার আগে পর্যন্ত তামিমকে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনায় ছিল না।
বরং তাঁকে সহ-অধিনায়ক করা নিয়েও বোর্ডের নীতি নির্ধারক মহলে একবার অনীহা ছিল। সেই নীতি নির্ধারকরা তামিমকে অধিনায়কত্ব দিয়েছিলেন স্রেফ পরিস্থিতির কারণে, অনোন্যপায় হয়ে।
ততদিনে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে এক যুগ কাটিয়ে দেওয়া তামিম ইকবালের এসব অনুধাবনে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি কিংবা জাতীয় দলের যে কোনো জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার চট করে বুঝে ফেলেন, তিনি বোর্ডের কোন আধিকারিকের কাছে কিংবা ড্রেসিংরুমে কত নম্বর জার্সিধারীর কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য। অবশ্য যে কোনো পরিণত মানুষের পক্ষেই কর্মস্থলে নিজের অবস্থান বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।