মন্থর সূচনার পরও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩১৫ রানকে বেশ বড় সংগ্রহই বলা যায়। শুরুতে তামিম-লিটনের উদ্বোধনী জুটি ৯৫ রান যোগ করে টাইগারদের স্কোরকার্ডে। কিছুক্ষণের ব্যবধানে লিটন,তামিম ও মুশফিক বিদায় নিলে চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলীর সাথে জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১১৫ রান। এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ড্রেসিং রুমের পথে হাঁটেন উভয়েই।
তবে বিপদে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। কেননা চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইয়াসির আলীকে নিয়ে দারুণ সামাল দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। এনগিদির বলে লেগ বিফোরে পড়ে ফেরার সাকিব (৭৭) ফেরা আগে ইয়াসিরের সঙ্গে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাকিবের এটা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৭৩।
এর আগে অ্যান্দিলে ফেহলুকায়োর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে যখন তামিম (৪১) ফিরে গেছেন তখন স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৯৫ রান। এর আগে ২০১৭ সালে মুশফিক ও ইমরুল কায়েস গড়েছিলেন ৯৩ রানের জুটি। যা এতোদিন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল। পারে সাকিব-ইয়াসির সেটাও ভাঙেন।
কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান লিটন। যাওয়ার আগে ৬৭ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। এটা তার ক্যারিয়ারের ৫ম ফিফটি।সাকিব-ইয়াসির ফেরার পর আর কেউই তেমন রান পাননি। মাহমুদউল্লাহ (২৫) ও মিরাজ (১৯*) শেষদিকে দলকে টেনে নেন। এর আগে আফিফ ১৩ বলে ১৭ রান করে যান। মিরাজের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন তাসকিন (৭)।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধি.), সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম,মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হাসান, তাসকিন আহমেদ, ও মুস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ : কাইলি ভ্যারানে,ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস, জানেমান মালান, টেম্বা বাভুমা (অধি.), এইডেন মার্করাম,কাগিসো রাবাদা, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, এন্দিলে ফেহলুকায়ো, মার্কো জানসেন ও লুঙ্গি এনগিদি।




















