উত্তর ঢাকার মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তাব দেন যে, জোড় সংখ্যার সিরিয়ালের গাড়ি চলবে জোড় তারিখে এবং বিজোড় তারিখে চলাচল করবে বিজোড় নম্বরের গাড়ি। রাজধানীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে নম্বর প্লেটের ভিত্তিতে গাড়ি চলাচল করলে যানজট নিরসন হবে বলে তিনি মনে করেন। শনিবার সকালে উত্তরায় বঙ্গবন্ধু মঞ্চের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
করোনাকালের সংকট কাটিয়ে স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততায় রূপে ফিরছে রাজধানী ঢাকা। তাই ক্রমেই প্রকট হচ্ছে যানজট। বিশেষ করে প্রাথমিক স্কুল খোলায় রাজপথে গাড়ি যেনো নড়ছেই না। নষ্ট হচ্ছে মানুষের মূল্যবান কর্মঘণ্টা।
এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখতে চায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এবিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীর কোন রাস্তায় কী পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে, কোথায় বেশি যানজট হয়—এসব বিষয়ে গবেষণা করা হবে। ওই গবেষণার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ট্রাফিকব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সিটি করপোরেশনের হাতে দিলে যানবাহনের নিবন্ধন নম্বরের ক্রমিক অনুযায়ী চলাচলের পদ্ধতি চালু করার কথা বলেন তিনি।
তবে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জোড়-বিজোড় সংখ্যার ভিত্তিতে গাড়ি চালানো বাস্তব সম্মত হবে না, বলছেন নগরপরিকল্পনাবিদরা। তাদের পরামর্শ পথচারী বান্ধব ফুটপাতের পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে সড়কে।
এছাড়া সম্প্রতি চালু হওয়া কোম্পানি ভিত্তিক বাস চলাচল ঢাকার দুই সিটির সমন্বয়ে আরো বড় পরিসরে পরিচালনার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। তারা মনে করেন, সঠিক তদারকির অভাবে এ উদ্যোগ ব্যর্থ হলে তা হবে গণপরিবহনের জন্য অশনিসংকেত।
দিল্লিতে দূষণ কমাতে ২০১৭ সালে জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চালানোর পদ্ধতি চালু করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের চালু এ নিয়মের সুফলও ওই সময় পাওয়ার খবর বেরিয়েছিল গণমাধ্যমে।
এছাড়া বিশ্বের আরো কিছু দেশে এ পদ্ধতি মেনে ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় নামানো, এলাকাভেদে নির্দিষ্ট দিনে গাড়ি চালানো এবং ব্যক্তিগত গাড়ি শেয়ারিংয়ের নিয়ম চালু রয়েছে।




















