আমি ঢাকায় ছিলাম, মানে আমি যানজটে আটকে ছিলাম। প্রস্তাবটি আরও সঠিকভাবে অন্যভাবে বলা যেতে পারে: আমি যানজটে আটকে ছিলাম, তাই আমি ঢাকায় ছিলাম। আপনি যদি বাংলাদেশের রাজধানীতে কিছু সময় কাটান, আপনি “ট্রাফিক” শব্দটিকে নতুন করে দেখতে শুরু করেন এবং আপনার সংজ্ঞাটি সংশোধন করতে শুরু করেন।
রোজার প্রথম দিনেই যানজটে নাস্তানাবুদ রাজধানীবাসী। নগরীর প্রতিটি ট্রাফিক সিগন্যালে বসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত। রোজা ও গরমে নাভিশ্বাস ওঠা নগরবাসী। কাজে আসেনি ট্রাফিক পুলিশের বাড়তি সতর্কতা।
এতে ভোগান্তিতে পড়েন সবস্তরের সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে রমজানের প্রথম দিন অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে ঠিক সময়ে ইফতারিও ধরতে পারেননি।রোববার প্রথম রমজানের সকালেই রাজধানীর সড়কগুলো স্থবির হয়ে পড়ে যানবাহনের চাপে। একটুও নড়াচড়ার সুযোগ নেই। প্রতিটি সিগন্যালে বসে থাকতে হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট।
রাজধানীর নিউমার্কেট, ধানমন্ডি থেকে শাহবাগ, মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তান, ফার্মগেট, গুলশান, বনানী, কুড়িল বিশ্বরোড উত্তরাসহ পুরো নগরীতেই যানচলাচল প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।
প্রায় একযুগ পর রোজায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকছে। প্রথম রোজাতেও স্কুলের পথে নেমেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতের সময়সূচাও এক। তাই অফিসগামী আর স্কুলগামী সকলে একসাথে পথে। বর্ষা আসন্ন, তাই খোঁড়া হয়েছে রাস্তা। সব মিলিয়ে ঢাকার বেশকিছু গুরুত্বপুর্ণ সড়কে তীব্র যানজট রোজার প্রথম দিনের সকালেই।
তার উপরে যোগ হয়েছ মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ। যানযটের কারণে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘন্টা অপচয় হচ্ছে রাজধানীবাসীর। সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মোড়ে মোড়ে যানবাহনের চাপ সমালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক সদস্যদের। জ্যামে আটকা পড়ে বিরক্ত যাত্রীরাও। তারা বিভিন্ন ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, সকালের দিকে যানবাহনগুলো মতিঝিলমুখী ও দুপুরের পর থেকে ঢাকার এলাকাগুলোতে জট বেশি লেগে থাকে। এই রোজায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় যানজট কমাতে রাস্তায় বাড়তি জনবল দেয়া হয়েছে। তারপরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।




















