শুরুর দিনেই চতুর্দশ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জমিয়ে দেওয়ার কথা ছিল পাক-ভারত ফুটবল ম্যাচটির। সেটা হয়নি। কারণ প্রবাসী ফুটবলারসমৃদ্ধ পাকিস্তান যেভাবে আলোচনার তুঙ্গে ছিল, সেভাবে মাঠে থাকতে পারেনি। বেঙ্গালুরুতে তাদের ৪-০ গোলে হারিয়ে সাফ শুরু করেছে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।
তাদের এই জয়ের নায়ক হ্যাটট্রিকম্যান সুনীল ছেত্রী।
গতকাল বেঙ্গালুরুতে শিশুসুলভ ভুলে ১৫ মিনিটে দুই গোল হজম করে পাকিস্তান। ১০ মিনিটে পাকিস্তান গোলরক্ষক ভুল করে বল তুলে দেন সুনীল ছেত্রীর পায়ে, যা অনায়াসে জালে পাঠিয়ে এই ভারতীয় স্ট্র্রাইকার গোল উদ্বোধন করেন। পঞ্চদশ মিনিটে এক পাক ডিফেন্ডার হাত দিয়ে শট ঠেকিয়ে উপহার দেন পেনাল্টি।
সফল স্পট কিকে জোড়া গোল হয় এই ভারতীয় স্ট্রাইকারের। ৭৪তম মিনিটে নিজেই আরেকটি পেনাল্টি আদায় করে নেন তিনি এবং সেই গোলেই সুনীলের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন। সুবাদে ৯০ গোল নিয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন গোলদাতার তালিকায় নতুন উচ্চতায়। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (১২৩), আলী দাইয়ি (১০৯) ও লিওনেল মেসির (১০৩) পর ৩৮ বছর বয়সী এই ভারতীয় স্ট্রাইকার আছেন চতুর্থ স্থানে।
সুনীলের অমন কীর্তিতে ভারতীয় ফুটবল যেমন আলোকিত হয়েছে, তেমনি তাদের কোচ ইগর স্তিমাচের অপকর্মে ম্যাচে যুদ্ধের দামামাও বেজে ওঠে খানিকটা। ৪৫ মিনিটে পাকিস্তানের আবদুল্লাহ থ্রো-ইন করতে গেলে তাঁর হাত থেকে থাবা মেরে বল ছুড়ে ফেলেন এই ক্রোয়াট কোচ। বিনা উসকানিতে এ রকম কাজ করলে খেপে যান পাকিস্তানি ফুটবলাররা। এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানের ডাগ-আউটেও। শেষে রেফারি ইগর স্তিমাচকে লাল কার্ড দেখিয়ে ডাগ-আউট ছাড়তে বাধ্য করেন।
পাশাপাশি ভারতের সহকারী কোচ মহেল ঘাউলি ও ডিফেন্ডার জিঙ্গালকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। পাকিস্তানের নবীও দেখেছেন হলুদ কার্ড। দ্বিতীয়ার্ধেও ভারত আধিপত্য বজায় রেখে খেলে এবং সুনীলের হ্যাটট্রিকের পর উদান্ত সিংও নাম তোলেন স্কোর শিটে।
