কক্সবাজারের টেকনাফে এবার নিজ দলীয় নেতাদের পেটালেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। এ ঘটনার কয়েক মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা হয়।ফেইসবুকে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সভা চলাকালে মাটিতে ফেলে একজনকে বেদড়ক পেটাচ্ছেন বদি ও তার ভাই শুক্কুরসহ কয়েকজন। টেনে-হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে চড়-থাপড় মারেন এবং লাথি মারতে থাকেন।
মারধরের শিকার নেতারা হলেন- টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউছুফ মনো, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউছুফ ভুট্টো ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক।
মারধরের শিকার মো. ইউছুফ মনো বলেন, বর্ধিত সভা চলাকালে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি পৌর কমিটিকে ডিঙ্গিয়ে বারবার ওয়ার্ড কমিটিকে প্রাধান্য দিয়ে কথা বলছিলেন। আমি তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় সেখানে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বদি মঞ্চ থেকে নেমে হল রুমের বাইরে অপেক্ষমান তার ক্যাডার বাহিনীকে ডেকে এনে নিজে সরাসরি এসে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে যুগ্ম সম্পাদক ইউছুফ ভুট্টোকেও বেধড়ক মারপিট করেন বদি ও তার লোকেরা।
এ ঘটনার ভিডিও করতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হককেও মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেন বদির ক্যাডাররা। এছাড়া পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদ হোসেন মুন্নার ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় বদি বাহিনীর হামলায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য জেলা সাংগঠনিক টিমের নেতাদের উপস্থিতিতে পূর্ব নির্ধারিত বর্ধিত সভা হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম রাজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত দাশ, ইউনুস বাঙ্গালী, উপজেলা সভাপতি মাস্টার জাহেদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের জেলা সাংগঠনিক টিমের লিডার (উখিয়া-টেকনাফ) শাহ আলম রাজা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সভা শেষ হয়েছে। বাইরে কোনো কিছু ঘটে থাকলে সেটা আমার জানা নেই।
