এক্সপ্রেসওয়ের টোল দিতে চাইছে না অনেকে!

0

টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীদের। ভুক্তভোগীরা বলছেন, একস্থান থেকে টোল আদায় করলে সময় কম লাগবে।

তবে টোল আদায়কারীরা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়ের জন্য অনেকেই টোল দিতে চাচ্ছেন না। তাদের বুঝিয়ে টোল নিতে সময় অনেক লাগছে।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো, বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের ধলেশ্বরী টোল প্লাজার কাছে পরপর দাঁড়িয়ে আটটি অত্যাধুনিক পরিবহন।

ঢাকা থেকে ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে চালিয়ে এসে গাড়িগুলো কিছুক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে টোল প্লাজায়।

ভাঙ্গা দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে আসছে, সে গাড়িগুলোকেও থামতে হচ্ছে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায়।

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার দায়েত্বে থাকা কর্মীরা বলছেন, ১০টি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া শুক্রবারের মতো শানিবারে আর সার্ভার ডাউন না থাকায় সময় গেল দিনের চেয়ে কম লাগছে। তবে এক্সপ্রেসওয়ের জন্য সহজে টোল দিতে চাচ্ছেন না অনেকেই।

তারা আরও জানান, পোস্তগোলা ও ধলেশ্বরী সেতুর টোল আদায় বন্ধ করে এখন এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় করা হচ্ছে। এখন একটি প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাসকে ১৩০ টাকা টোল দিতে হচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ের টোল বেশি কেন, এ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করছেন। তাদের এটা বোঝাতে গিয়ে অনেক সময় বিলম্ব হচ্ছে।

আর ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে প্রথম দিন যানবাহন চলাচলে ধীরগতি থাকলেও দ্বিতীয় দিন তা স্বাভাবিক হয়েছে বলে বগাইল টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন জানান।

তবে, এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীরা বলছেন, একাধিক স্থানে টোল দিতে সময় বেশি নষ্ট হচ্ছে। ফলে এই সড়কের পুরো সুবিধা মিলছে না। এ কারণে, যে কোন একটি স্থানে টোল আদায়ের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এদিকে, বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে টোল যুক্ত করার পর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গগামী ৪০ সিট ও ৫১ সিটে বাসের জন্য আলাদা ভাড়া ঠিক করেছে বিআরটিএ।

আর, বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুরের টোল প্লাজায় ২৪ ঘণ্টায় ২৪ লাখের বেশি টাকা আদায় হয়েছে; এ সময়ে পার হয়েছে সাড়ে ১৫ হাজারের বেশি যানবাহন।

spot_img
পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকার হাটগুলোতে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে
পরবর্তী নিবন্ধশতাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে