মাদারীপুরে বিয়েতে দাবিতে তিনদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন প্রেমিকা। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে সে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এরইমধ্যে প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। এতে নিজের অবস্থান থেকে কিছুতেই সরে আসবে না বলে সাফ জানিয়েছে ওই প্রেমিকা।
যদিও পুলিশ বলছে, এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। ঘটনাটি ঘটেছে প্রেমিকের বাড়ি সদর উপজেলার শিরখারা ইউনিয়নের চরঘুনসী গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রেমিকা ডিগ্রি প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করেন একই উপজেলার কবিরাজপুর ডিগ্রি কলেজে। বিয়ের দাবিতে গত তিনদিন ধরে অবস্থান করছেন প্রেমিকের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখারা ইউনিয়নের চরঘুনসী গ্রামের মৃত তারেক হাওলাদারের ছেলে আমিনুল হাওলাদারের বাড়িতে।
গল্পের শুরুটা ২০১৩ সালে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় কলেজপড়ুয়া আমিনুল হাওলাদারের। এরপর প্রেম। ২০১৬ সালে ওই ছাত্রীর পরিবার অন্য জায়গায় জোড় করে বিয়ে দিলেও এক মাসের মাথায় প্রেমিক আমিনুলের জন্য ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক আরও গভীর হতে থাকে। পরে আমিনুল ওই বছরই ইতালি চলে গেলে ওই ছাত্রীর প্রয়োজনীয় খরচ বহনের দায়িত্ব নেয় আমিনুল। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাও পাঠান। এ সময় দুটি পরিবারের মাঝে গড়ে ওঠে সখ্যতা।
এদিকে ২ আগস্ট দেশে আসলে আমিনুলের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে পরিবার। এই খবরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে যান ওই ছাত্রী। এর সুষ্ঠু সমাধান চান এলাকাবাসী। এদিকে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাত্রীকে মেনে নিতে নারাজ আমিনুলের পরিবার।
অভিযুক্ত আমিনুলের ভাবি লতা আক্তার বলেন, কারো সঙ্গে প্রেম করলে তার অনেক প্রমাণ থাকে। কিন্তু ওই ছাত্রী-আমিনুলের প্রেমের গল্পে কোনো প্রমাণ নেই। আমরা ওই ছাত্রীকে মেনে নিতে পারবো না। আমিনুলের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে।
ওই ছাত্রী বলেন, আমি বাড়িতে অবস্থান করার পর গা ঢাকা দিয়েছে আমিনুল। আগামী শুক্রবার আমিনুলের অন্যত্র বিয়ে হওয়ার কথা। আমার সঙ্গে ১০ বছর প্রেম করেছে, আমি ওর সঙ্গেই সংসার করতে চাই।
মাদারীপুরের পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, মেয়েটি টানা ১০ বছর প্রেম করলেও আমিনুলের পরিবার অস্বীকার যাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর অভিযোগ পেলে দ্রুততম সময়ে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
