কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনায় রিমান্ডে নেওয়া আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৩ দিনের রিমান্ড শেষে ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের পাঠানোর আদেশ দেন।
এর মধ্যে ডাকাতির ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী মাহমুদুল হাসান ওরফে মুন্না ওরফে রতন (২২) ও আব্দুল মান্নান (২০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কারাগারে পাঠানো অন্য দুই আসামী হলেন জীবন প্রামাণিক (২০) ও খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দীপু (২৩)।
এদের গত রোববার র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যা ব) গ্রেপ্তার করে। সোমবার রাতে তাদের টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার ছয় জনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনই বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১) ও মো. সোহাগ (১৯) ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। বুধবার তারা আদালতে জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন জানান, মাহমুদুল হাসান ওরফে রতন এবং আব্দুল মান্নান আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে তাদের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন করিম তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে জবানবন্দি দেয়া এই দুইজনসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, বাস ডাকাতির মুল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মাহমুদুল হাসান ওরফে মুন্না ওরফে রতন (২২)। তিনি মধুপুর উপজেলার ধলপুর গ্রামের মো. মজিবুর রহমানের ছেলে। এ নিয়ে এই ডাকাতি ও গণধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১১ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ আগস্ট কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাস সিরাজগঞ্জ পৌঁছলে যাত্রীবেশী ডাকাতরা গাড়িতে উঠেন। টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর তারা অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে যাত্রীদের টাকা পয়সা, মুঠোফোন, গহনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেন। এ সময় বাসের এক নারী যাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। পরে বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে বুধবার মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা করেন।
