যশোরের মনিরামপুরে নিজ বাড়ি থেকে ইয়াছিন আরাফাত (৩৩) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার গালদা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত ইয়াছিন আরাফাত সাতক্ষীরা জেলার মাধবকাটি গ্রামের মৃত মোতালেব হোসেনের ছেলে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ মিলিমিটার দূর থেকে একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে পরিকল্পিত খুন বলা হচ্ছে। তবে, পুলিশ ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছে না। পুলিশ ও র্যাতব-৬ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৮ বছর আগে ইয়াছিন আরাফাত এই গ্রামে বসবাস করে আসছেন। তিনি একই উপজেলার ঝাপা গ্রামে বিয়ে করেছেন। তার ৬ বছরের আব্দুল্লাহ নামের ছেলে সন্তান রয়েছে। এই বাড়িতে তিনি ও তার স্ত্রী জোহরা খাতুন এবং ছেলে আব্দুল্লাহ থাকতেন। ঘটনার দিন বাড়িতে কেউ ছিল না।
নিহতের বড় ভাই আব্দুল হামিদ বলেন, তারা সাতক্ষীরায় থাকেন। তার ছোট ভাই ইয়াছিন আরাফাত ১৮ বছর আগে এই গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করে আসছে। তার ভাইকে পরিকল্পিভাবে খুন করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
নিহতের স্ত্রী জোহরা খাতুন বলেন, তার নানা মারা যাওয়ায় তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার স্বামীর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। সকালে স্বামীর ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না হওয়ায় তিনি বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে এসে ফোন দিলেও ঘরের মধ্যে ফোনের রিংটোন বাজলেও রিসিভ না হওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরের টিউবওয়লের পাশে স্বামীর বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
স্থানীয় খেদাপাড়া ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই সৌমেন বিশ্বাস বলেন, নিহতের শরীরের কয়েকটি স্থানে সামান্য ক্ষত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে এমন হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে জানা যাবে।
