৭০ বছর সিংহাসনে থেকে ৯৬ বছর বয়সে জীবনাবসান হলো ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের।
অথচ তার রানির আসনেই বসার কথা ছিল না। তিনিই ভেঙেছেন ব্রিটেনের রাজ ইতিহাস।খবর বিবিসির।
তার মৃত্যুতে ব্রিটেনের রাজ-ঐতিহ্য আজ যেন অনেকটাই ফিকে। রানির পর সিংহাসনের দাবিদারদের মধ্যে রয়েছেন তার ছেলে যুবরাজ চার্লস, নাতি যুবরাজ উইলিয়ামসহ আরও অনেকে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম ২১ এপ্রিল ১৯২৬ সালে। ব্রিটেনের হাজার বছরের ইতিহাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি। ১৯৫৩ সালের ২ জুন অভিষেক হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ার্ল্যান্ডের রাজদণ্ড হাতে তুলে নেন তিনি।
এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ ১৯৩৭ সালে ব্রিটেনের রাজা হন। বড় মেয়ে হিসাবে সিংহাসনের দাবিদার ছিলেন এলিজাবেথ। তবে ব্রিটেনের রানি হওয়ার কথা ছিল না দ্বিতীয় এলিজাবেথের।
সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার অবস্থান ছিল চাচা অষ্টম এডওয়ার্ড এবং বাবা ষষ্ঠ জর্জ, প্রিন্স অ্যালবার্টের পরে।
তবে বিপত্নীক নারী ওয়েলিস সিম্পসনকে বিয়ে করার কারণে ১৯৩৬ সালে সিংহাসন ত্যাগ করেন অষ্টম এডওয়ার্ড। অতঃপর তার স্থলাভিষিক্ত হন এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ।
বাড়িতে এসে এলিজাবেথকে ইতিহাস, ভাষা, সঙ্গীতের পাঠ দিতেন বিখ্যাত শিক্ষকরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এলিজাবেথ আর বোন মার্গারেটকে লন্ডনের বাইরে স্কটল্যান্ড এবং উইন্ডসরে পাঠিয়ে দেন রাজা।
১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর লেফটেনান্ট ফিলিপ মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে বিয়ে হয় এলিজাবেথের। পরের বছর ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্ম হয় প্রথম সন্তান প্রিন্স চার্লসের।
১৯৫১ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজা অ্যালবার্ট। তখন থেকে তার প্রতিনিধিত্ব করে স্বামীর সঙ্গে বিদেশ সফরে যেতে শুরু করেন এলিজাবেথ।
১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফরে বেরিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ। সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপ। পথে রাজার মৃত্যুর খবর পান। তড়িঘড়ি দেশে ফিরে আসেন এলিজাবেথ। তখন তার বয়স মাত্র ২৫।
শোক করার আর সময় পাননি রানি, দায়িত্ব এসে পরে ঘাড়ে। ততদিনে দুই সন্তানের মা। দুই শিশু সন্তানকে দেশে রেখেই ১৯৫৩ সালের নভেম্বরে ছ’মাসের জন্য কমলওয়েলথভুক্ত দেশের সফরে বেরিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ। তিনি কর্তব্যকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন বরাবর।




















