দুর্ভোগে মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা

গত দুই দিনের বৃষ্টিতে মহাসড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে চেরাগআলী থেকে টঙ্গী পর্যন্ত এলাকা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে বিকল্প সড়কসহ পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন যাত্রীরা।

পুলিশ, মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী এবং গাড়ির চালকরা জানান, গত দুই দিনের বৃষ্টিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে বড় বড় গর্তসহ খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে যানবাহনে ধীরগতি হওয়ায় দীর্ঘযানজটের তৈরি হয়েছে। টঙ্গীর আব্দুল্লাহপুর ব্রিজে উঠতে বড় বড় একাধিক গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই গর্তে যানবাহন আটকে যাচ্ছে। 

এছাড়া টঙ্গীর মিল গেইট এলাকায় বিআরটি প্রজেক্টের কাজে মহাসড়কে বসানো যন্ত্রপাতির কারণে মহাসড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এতে এক লেনে ঢাকায় গাড়ি প্রবেশ করছে ও ঢাকা থেকে এক লেনে গাড়িগুলো বের হচ্ছে। এছাড়া কলেজ গেট থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত মহাসড়ক জুড়েই খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। গর্তে আটকে যাচ্ছে বাস, ট্রাক, পিক আপসহ অন্যান্য যানবাহন, আর এতেই স্থবির হয়ে পড়ছে মহাসড়ক।

গাজীপুরের শ্রীপুরের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন জানান, ভোর ছয়টায় বাসযোগে গাজীপুর চৌরাস্তা পাড় হই। তারপর দীর্ঘ তিন ঘণ্টা টঙ্গী পৌঁচ্ছাতে পারিনি। যে কারণে গাড়ি থেকে নেমে কিছু পথ পায়ে হেঁটে বিকল্প যানে বিকল্প পথ ধরে ঢাকায় পৌঁছাই। 

গাজীপুরের সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার অপর ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, জরুরীকাজে খুব ভোরে রওনা হয়ে বেলা ১১টায় আব্দুল্লাহপুর পাড় হতে পারিনি। পরে ঢাকায় না গিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছি। 

সপ্তাহে প্রতি বুধবার উত্তরা থেকে গিয়ে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তাসহ আশপাশ এলাকায় রোগী দেখেন চিকিৎসক আতিউর রহমান। তিনি বলেন, সকাল ৯ টায় চেম্বারে থাকার কথা। যানজটের চিন্তা মাথায় রেখে সাড়ে ছয়টায় উত্তরার বাসা থেকে নিজস্ব গাড়ি যোগে বের হলেও যানজটের কারণে বেলা সাড়ে ১০টায় চেম্বারে পৌঁছাতে হয়েছে।

ময়মনসিংহগামী বাসের চালক শওকত হোসেন জানান, আগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায় ঢাকার মহাখালী থেকে ময়মনসিংহ চলাচল করা যেতো। এখন যানজটের কারণে কয়েকগুণ সময় বেশি লাগে।

এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বুধবার সকালে চেরাগআলী থেকে আব্দুল্লাহর যানজটের তৈরি হয়। ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে। বৃষ্টিতে মহাসড়কে খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় কিছু জায়গাতে বালুসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে মহাসড়কের ভরাট করা হচ্ছে।

বিআরটি প্রকল্পের এলিভেটেড অংশের প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম খানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বেলা ১২টার কিছু সময় পর মহাসড়কের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বের হয়ে টঙ্গীর মিলগেইট এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে অস্থায়ী সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, আমরা এখনও পার্মানেন্ট রোড করিনি। চাইনিজদের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

spot_img
পূর্ববর্তী নিবন্ধআমি বাসন মাজছিলাম!
পরবর্তী নিবন্ধ‘কী বলব, আমার বাবুটা না…।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে