১৪৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

৪৩ রানের ওপেনিং জুটির শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ।  এরপর ওপেনার সৌম্য আউট হলে বাংলাদেশ দলে মড়ক লাগে।

২০ রান করতেই ৪ উইকেট হাওয়া।  একে একে শান্ত, লিটন ও সাকিব ফিরে গেলে দল বিপদে পড়ে। 

পরে দুই অলরাউন্ডার আফিফ ও মোসাদ্দেকের ইনিংসে ভর করে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। জয়ের জন্য ১৪৫ রান করতে হবে নেদারল্যান্ডসকে।

সাকিবের আউটের পর হাল ধরতে নামেন আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলি রাব্বি।

এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ছিল ৫ মিনিটের মতো। এরপর আবারও খেলা শুরু হলেই বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ইয়াসির।

১১তম ওভারের শেষ বলেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ইয়াসিরের উইকেট ভেঙে দেন পল ফন মেকেরেন।

এর পর থেকে দলকে একাই টেনে তুলছেন অলরাউন্ডার আফিফ।  ১৬তম ওভারে সুইপ করে শারিজ আহমাদকে বাউন্ডারি হাঁকান আফিফ। 

এরপর উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা উড়িয়ে বাংলাদেশের রান একশ পার করে দেন তিনি।

১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১০৬ রান।

১৬তম ওভারে অবশ্য জীবন পেয়েছেন আফিফ।  ভ্যান বিকের ৩য় ডেলিভারিটি উড়িয়ে মারেন আফিফ।  বল উড়ে যায় ডিপ মিডউইকেটে। দৌড়ে এসে ক্যাচ ধরার চেষ্টায় বল হাতে জমাতে পারেননি ফিল্ডার।

এর আগে আফিসের সঙ্গে ৩৭ বলে স্থায়ী ৪৪ রানের জুটি গড়েন উইকেটকিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান।

ক্রিজে বেশ কিছুটা সময় কাটালেও সেভাবে টাইমিং করতে পারছিলেন না নুরুল হাসান সোহান। শেষে মরিয়ে হয়েই খেললেন শট। ধরা পড়লেন সীমানায়। ১৮ বলে ১৩ রান করেন সোহান। 

আফিফ অবশ্য জীবন পান ২১ বলে ২৯ রানে।  তবে জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ। ১৮তম ওভারে ডি লিডার শেষ বলে কিপারের গ্লাভসবন্দি হয়েছেন তিনি।  আফিফ থামলেন ২৭ বলে ৩৮ রানে।

এর আগে ৬ষ্ঠ ও ৭ম তথা পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মেকেরেনের শর্ট বলে পুল করে টাইমিং করতে পারেননি সৌম্য। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন বাস ডে লেডে। ১৪ বলে ১৪ রান করে ভ্যান মেকারেনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার সৌম্য।

পরের ওভারে বাঁহাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গলকে সুইপ করে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন শান্ত। স্পিনের বিপক্ষে খেলা শটে টাইমিং করতে পারেননি, ক্যাচ ওঠে যায় মিডউইকেটে।

শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ বলে ২৫ রান।

এরপর ব্যাট হাতে নেমে ব্যর্থ লিটন দাস।  বাংলাদেশের হাল ধরতে পারলেন না তিনি। 

দলে ফেরা লোগান ফন বিকের শর্ট অব লেংথ বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি লিটন। ব্যাটের উপরের দিকে বল উঠে যায় উপরে। মিড-অফে সহজ ক্যাচ নেন টম কুপার।

১১ বলে ৯ রান করে বিদায় নিলেন লিটন।  এরপর ছক্কার আশায় উড়িয়ে মেরে দলকে আরও বিপদে ফেলে ফিরলেন অধিনায়কও।

১০ম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কার আশায় উড়িয়ে মারেন সাকিব।  বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন শারিজ আহমেদ।  ৯ বলে ৭ রান করেছেন অধিনায়ক।

শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ১২ বলে ২০ রানের ইনিংসে ১৪৪ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

spot_img
পূর্ববর্তী নিবন্ধহাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধবিতর্কিত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদির ওপর ছুরি হামলায় একটি চোখ হারাতে হয়েছে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে