নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চলছে মাইকিং

বাগেরহাটের উপকূলে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টি, সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। মোংলা বন্দরে জারি করা হয়েছে ৭ নম্বর সংকেত। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চলছে মাইকিং।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে গতরাত ভর হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। সময় বাড়ার সাথে সোমবার সকাল থেকে ভারিবৃষ্টি ও ঝড়োবাতাস বইছে। সিত্রাং মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাগেরহাট প্রশাসন।গতকাল বিকেলে দূযোগ কমিটির সভায়

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ৩৪৪ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ২৯৮ মেট্রিকটন চাল ও নগদ চার লাখ ৮০ হাজার টাকা উপকূলীয় উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার মো মহিউদ্দিন জামান জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সাবধান করতে মাইকিং করা হচ্ছে।

তাদের নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এদিকে মাছ ধরার জন্য২৮ তারিখ পযন্ত  নিষেধাজ্ঞা থাকায় সমুদ্রগামি ট্রলার গুলো ও শত শত জেলে নিরাপদে রয়েছে। বাগেরহাটের প্রধান ম্যসৎ অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদীতে অনেক ট্রলার নোঙর করে রয়েছে।

বৃষ্টি  ঝড়ো হাওয়ার জন্য জেলা শহরের রাস্তা ঘাট অনেকটাই ফাঁকা। জরুরী প্রয়োজন এর মধ্যেও কিছু মানুষকে ছাতা নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। তবে আমবশ্যার সাথে ঘুনিঝড় হওয়ায় বাগেরহাটের উপকুলের  মানুষের মধ্যে জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকির মধ্যে  আতংক বিরাজ করছে।

এদিকে বাগেরহাটের উপকুলীয় উপজেলা শরণখোলা, মোংলা ও মোরেলগঞ্জে ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় ওই এলাকায় আঘাত হানে তাহলে তাদের সন্ধ্যার আগেই আশ্রয়কেন্দ্র যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।

spot_img
পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্তর্জাতিক শেফ দিবসে ‘সেরা রন্ধনশিল্পী-২০২২’ সম্মাননা পেয়েছেন কালিনারি আর্টিস্ট হাসিনা আনছার নাহার
পরবর্তী নিবন্ধরাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল স্থানে ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করবে টিসিবি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে